পূর্বঘোষণা অনুযায়ী তিন দেশ—আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে ও স্পেন গতকাল মঙ্গলবার ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ। বান্দা আচেহ, ইন্দোনেশিয়া, ১৮ মে, ২০২৪ । ছবি: এএফপি |
ইসরায়েলি দখলদারির পর ঐতিহাসিক ফিলিস্তিনের এখন যে ভূখণ্ড অবশিষ্ট আছে, তা হলো, দখলকৃত পশ্চিম তীর ও অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা। গাজায় গত প্রায় আট মাস ধরে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এই সময়ে ৩৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নারী-পুরুষকে হত্যা করেছে তারা।
এরপরও নরকে পরিণত হওয়া গাজা উপত্যকাজুড়ে ও পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিরা নিজেদের স্বাধীন রাষ্ট্র পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদ ও গর্ব প্রকাশ করেছেন। তাঁদের এ আশা আরও ব্যাপকভাবে স্বীকৃতি পাচ্ছে। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের জন্য এ স্বীকৃতির অর্থ কী—উঠছে সেই প্রশ্ন।
স্পেন, আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ে যা করেছে, সেটি কোনো বিদ্যমান রাষ্ট্রের স্বীকৃতি নয়; বরং একটি স্বাধীন রাষ্ট্র (স্বাধীন ফিলিস্তিন) প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনার স্বীকৃতিমাত্র।
এ পদক্ষেপের ফলে ওই তিন দেশ ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক এবং যোগাযোগ আরও বাড়বে।
তিন দেশই ঘোষণা করেছে, তারা ফিলিস্তিনকে ১৯৬৭ সালের আগের সীমানার ভিত্তিতে ও পূর্ব জেরুজালেমকে এর রাজধানী ধরে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে।
আয়ারল্যান্ড বলেছে, তারা ডাবলিনে ফিলিস্তিনি মিশন ও ফিলিস্তিনে নিজেদের কার্যালয়কে দূতাবাসে উন্নীত করবে। আর একই রকম পদক্ষেপ আগেই নিয়েছে নরওয়ে ও স্পেন।
আশার কথা হলো, বাস্তবে না হলেও এর আক্ষরিক স্বাধীনতা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ফিলিস্তিনের অবস্থান জোরদার করবে। পাশাপাশি, ঠিক এ মুহূর্তে গাজায় যুদ্ধ বন্ধে সমঝোতায় বসার জন্য ইসরায়েলের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করবে এটি।
তিন দেশের এ স্বীকৃতি একই রকম পদক্ষেপ নিতে এরই মধ্যে স্লোভেনিয়াকে উৎসাহিত করেছে। আগামী ১৩ জুন দেশটি ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২৭ জাতির ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য আয়ারল্যান্ড ও স্পেন। আশা করা হচ্ছে, ফিলিস্তিনকে দেশ দুটির স্বীকৃতি ৬ থেকে ৯ জুন ইইউর নির্বাচনকালীন অ্যাজেন্ডায় ফিলিস্তিনের মর্যাদার বিষয়টিকে জোরাল করবে।
Leave a Comment