রাস্তায় প্রায়ই ট্রাকের পেছনে ‘মায়ের দোয়া’ লেখা দেখা যায়। বাস, রিকশা, অটোরিকশার পেছনেও এমন লেখা থাকে। চুয়াডাঙ্গায় মাসুম নামে এক ব্যক্তি ইজিবাইকের পেছনে লিখেছিলেন ‘বউয়ের দোয়া পরিবহন’। বছর দুয়েক আগে এটা নিয়ে খুব হাস্যরসাত্মক আলোচনা হয়েছিল। ওই সময় মাসুম অবিবাহিত ছিলেন। পরে তার বিয়ের খবরও জায়গা পেয়েছিল মিডিয়ায়। ওই সময় মাসুম জানতেন ‘বউয়ের দোয়া’ তার জুটবে না, তারপরও তিনি এটা লিখেছিলেন যাতে মানুষ মজা পায় এবং সবার মুখে মুখে থাকে। অর্থাৎ তার চিন্তায় ছিল শুধুই ব্র্যান্ডিং।
মাসুমের সেই ‘বউয়ের দোয়া পরিবহন’ এর মতো বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম যেন ‘দর্শকের দোয়া ক্রিকেট দল’ আর বিসিবি ‘মায়ের দোয় ক্রিকেট বোর্ড’!
যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজ হারার পর সামাজিক মাধ্যমে দর্শক-সমর্থকদের প্রতিক্রিয়া দেখে মনে হচ্ছে, তাদের অবস্থা ‘অল্প শোকে কাতর, অধিক শোকে পাথর আর অত্যধিক শোকে পাগল’ হওয়ার মতো। যেমন দ্বিতীয় ম্যাচে হারার পর থেকে একটি ফটোকার্ড ফেসবুকে ঘুরছে। ওই ফটোকার্ড মতে, অধিনায়ক শান্ত বলেছেন, ‘আমেরিকার টিমে ছয়টা দেশ থেকে আসা প্লেয়াররা খেলেন। তারা যখন খেলেন ওই ছয় দেশের মানুষই তাদের জন্য দোয়া করে। স্বাভাবিকভাবেই তারা আমাদের চেয়ে বেশি দোয়া পায়।’
কিন্তু শান্তকে এমন কথা বলতে শোনা যায়নি। ম্যাচের পর সংবাদমাধ্যমে তিনি যে আলাপ করেছে তার কোথাও এটা ছিল না। তারপরেও ছবিটি মিম আকারে ফেসবুকে ঘুরছে। অনেকে মজার ছলে এটি শেয়ার করছেন আবার কেউ কেউ বিশ্বাস করছেন যে, শান্ত সত্যি সত্যিই এই কথা বলেছেন!
চিন্তার বিষয় হল, কেন মানুষ এমন একটি হাস্যকর বক্তব্যকেও অধিনায়কের মতো একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তির কথা হিসেবে বিশ্বাস করে নিচ্ছে?
Leave a Comment