ঢাকার রমনা উদ্যোন। ছবিটি সংগৃহীত




 জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানাবিধ করণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বড় ছোট শহরগুলোর বাতাসে দিন দিন বাড়ছে দূষণ। দীর্ঘদিন ধরে মেগাসিটি ঢাকার বাতাসও দূষণের কবলে রয়েছে। অবশ্য গত কয়েক দিনে শহরটির বাতাসে দূষণ কিছুটা হলেও কমেছে।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার জানাল এদিন ঢাকার বাতাস মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি দূষণ রয়েছে কঙ্গোর গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কিনশাসা।

এদিন সকাল ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী ৮৩ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় আজ ১৭তম নম্বরে রয়েছে রাজধানী ঢাকা। যা বায়ুমানের দিক থেকে মাঝারি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

এ সময় আইকিউএয়ারেরে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ১৭৯ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে কঙ্গোর গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কিনশাসা। এ ছাড়া ১৬৫ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা, আবার ১৫৪ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভিয়েতনামের হ্যানয় প্রদেশ, চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শহর দুবাই, যার স্কোর ১২৭। পঞ্চম অবস্থানে ফ্রান্সের নাইস শহর রয়েছে, যার স্কোর ১২০। 

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

 

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।



 

Leave a Comment